অমর একুশে বইমেলা বাংলা ভাষা, সংস্কৃতি, ইতিহাস ও ঐতিহ্যের ধারক-বাহক হয়ে উঠেছে : রাষ্ট্রপতি

অমর একুশে বইমেলা বাংলা ভাষা, সংস্কৃতি, ইতিহাস ও ঐতিহ্যের ধারক-বাহক হয়ে উঠেছে : রাষ্ট্রপতি

Image 30550 1644839817

রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বলেছেন, মহান ভাষা আন্দোলনের চেতনা সমুজ্জ্বল রেখে ‘অমর একুশে বইমেলা’ বাংলা ভাষা, সংস্কৃতি, ইতিহাস ও ঐতিহ্যের ধারক-বাহক হয়ে উঠেছে।
আগামীকাল ১৫ ফেব্রুয়ারি ‘অমর একুশে বইমেলা ও অনুষ্ঠানমালা ২০২২’ উপলক্ষ্যে আজ এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলা একাডেমির উদ্যোগে অমর একুশে বইমেলা ও অনুষ্ঠানমালা-২০২২’ এর আয়োজন ইতোমধ্যে বাঙালির শিক্ষা, সংস্কৃতি ও ইতিহাস ঐতিহ্যের বিকাশে একটি অন্যতম প্রধান অনুষ্ঠান ও উৎসবে পরিণত হয়েছে। অমর একুশে বইমেলার প্রাক্কালে একুশে ফেব্রুয়ারি মহান ভাষা আন্দোলনে অমর শহীদদের স্মৃতির প্রতি তিনি গভীর শ্রদ্ধা জানান।
রাষ্ট্রপতি বলেন, অমর একুশের বইমেলা বাঙালি সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। প্রতিবছর ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে বাংলা একাডেমি আয়োজিত বইমেলা লেখক-পাঠক-সংস্কৃতিকর্মী তথা সমাজের নানা শ্রেণিপেশার মানুষের মধ্যে অনন্য জাগরণ সৃষ্টি করে। বাঙালি সংস্কৃতির মৌলিক বৈশিষ্ট্য মানবতাবাদী সংস্কৃতি। শ্রেণি-পেশা-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব মানুষের মুক্তি ও সামগ্রিক বিকাশের লক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে বাঙালি জাতি অর্জন করে বহুকাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা।
তিনি বলেন, ২০২১ সালে বাঙালি জাতি বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী সাড়ম্বরে উদযাপন করেছে। এ প্রেক্ষাপটে এবারের অমর একুশে বইমেলার প্রতিপাদ্য ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী’ অত্যন্ত যথার্থ হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
আবদুল হামিদ বলেন, ‘বাঙালির সাহিত্য-সংস্কৃতির পাদপীঠ বাংলা একাডেমি ১৯৫৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। বাংলা একাডেমি মহান ভাষা আন্দোলনের  স্মৃতিকে নানাভাবে ধারণ করে আছে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বাংলা একাডেমি বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির উৎকর্ষ সাধনে নিরবচ্ছিন্ন দায়িত্ব পালন করে আসছে। ভাষা শহীদদের রক্তস্নাত পথ ধরে গড়ে ওঠা বাংলা একাডেমি বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতিকে দেশ ও দেশের বাইরে মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করার মাধ্যমে সারা বিশ্বের বাংলা ভাষাভাষী মানুষের প্রাণের প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে – এ প্রত্যাশা করি।’
তিনি বলেন, ‘অমর একুশে বইমেলা বাঙালির প্রাণের মেলা। বইকেনার পাশাপাশি আলোচনা সভা, সংগীতানুষ্ঠান, প্রদর্শনী, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান প্রভৃতির মাধ্যমে সবার মাঝে ছড়িয়ে পড়ে সংস্কৃতির অমিয় সুধা। বাংলা একাডেমির এই প্রাঙ্গণে সৃজনশীল ও মননশীল লেখকদের বিকাশ ও অধিকার সুরক্ষার ক্ষেত্র হিসেবে অমর একুশে বইমেলা এক অবিকল্প আয়োজন। মহান ভাষা আন্দোলনের চেতনাকে সমুজ্জ্বল রেখে ‘অমর একুশে বইমেলা’ বাংলা ভাষা, সংস্কৃতি, ইতিহাস ও ঐতিহ্যের ধারক-বাহক হয়ে উঠবে, এ আমার দৃঢ় বিশ্বাস।’
তিনি অমর একুশে বইমেলা ও অনুষ্ঠানমালা-২০২২’ এর সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করেন।

Please Share This Post in Your Social Media

© ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY Rayhan